Treasure Island by Robert Louis Stevenson (Bengali Translation, PDF Book)

Treasure Island by Robert Louis Stevenson (Bengali Translation, PDF Book)

 

Treasure Island- ট্রেজার আইল্যান্ড এর লেখক রবার্ট লুই স্টিভেনসন  ১৮৫০ সালে ১২ নভেম্বর স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় বরার্ট লুই স্টিভেনসনের জন্ম। বাবার নাম টমাস ষ্টিভেনসন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। লাইট হাউস তৈরি করতেন। মায়ের নাম মার্গারেট ইসাবেলা। একজন যাজকের কন্যা। 

 
ছােটোবেলায় বাড়ির জানালার ধারে বসে স্টিভেনসন রাস্তা দেখতেন। সন্ধ্যা হলেই মই কাঁধে রাস্তার আলাে জ্বালাতে আসতাে লিয়ারি।
 

লিয়ারি ছিলাে তার বন্ধু, তার কাছ থেকে খবর সংগ্রহ করতেন। সন্ধ্যার পর তার নার্স কামি তাকে রূপকথার জলদস্যুদের গল্প শোনাতেন।রবার্ট লুই স্টিভেনসন ছােটোবেলা থেকেই ফুসফুসের রােগে ভুগছিলেন।

বাবা টমাস স্টিভেনসনের আশা ছেলের অসুখ সেরে যাবে এবং সে তার মতােই ইঞ্জিনিয়ার হবে।

ছেলেকে এডিনবরাতেই স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হলো। পড়াশোনায় মন নেই। কবিতা লেখে, গল্প লেখে।

ইংরেজির স্যার বলেন, বর কখনো লেখক হতে পারবে না। বাবা দেখেন ছেলের ইচ্ছে লেখক হবে।

ছেলে যদি তার মতাে ইঞ্জিনিয়ার হতে না চায়তো ব্যারিস্টার হােক।

লুই স্টিভেনসন ব্যারিস্টারি পড়তে রাজি হন এবং শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এডিনবরা বারে তিনি যােগ দেন।

কিন্তু পেশায় তিনি কখনােই আত্মনিয়ােগ করেন নি। তাঁর মূল লক্ষ্য লেখক হওয়া।

ফুসফুসের ব্যাধিটি এতদিনে আরাে বেড়ে গেছে।

ঠাণ্ডার দেশ স্কটল্যান্ড থেকে লুইকে পাঠানাে হল উষ্ণ দেশ ফ্রান্সের রিভিয়েরা অঞ্চলে।

রােগ আয়ত্বে রাখার জন্যে লুই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাময়িক ভাবে বাস করতেন।

পরবর্তী কুড়ি বছরে তিনি রােগ ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টায় ত্রিশ হাজার কিলােমিটার ভ্রমন করেছিলেন।

ইতিমধ্যে কয়েকটি খ্যাতনামা পত্রিকায় লুইয়ের কিছু প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে।

রুগ্ন সন্তানের প্রতি বাবার মমত্ববােধ জেগে উঠলাে। তিনি লুইকে এক হাজার পাউন্ড দিলেন।

Treasure_Island_by_Robert_Louis_Stevenson

মিঃ হাইড’, ‘দি ব্ল্যাক অ্যারাে’, ‘এ চাইন্ডস গার্ডেন অফ ভার্সেস’ এবং আরাে অনেক বই।

এদিকে লেখক রবার্ট লুই স্টিভেনসনের ক্ষমতা যত বাড়ছে মানুষ রবার্ট লুই স্টিভেনসনের ক্ষমতা তত কমছে।

তিনি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছেন। রাত্রে সামান্য জ্বর, সঙ্গে কাশি বেড়েই চলেছে।

ইউরােপের আবহাওয়া আর সহ্য হচ্ছে না। কিছুদিন হয় বাবা মারা গেছেন।

বিধবা মা, স্ত্রী ফ্যানি ও ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে লুই আমেরিকা যাত্রা করলেন এবং তারপর তিনি আর ইউরােপে ফেরেননি। ইউরােপ থেকে এই ভঁর শেষ যাত্রা। 

ওরা প্রথমে নামলেন নিউইয়র্কে। রিপাের্টার, প্রকাশক ও সম্পাদকের দল তাঁকে ঘিরে ধরলেন।

না চাইতেই অর্থ । স্বদেশ অপেক্ষা অমেরিকাতেই তাঁর বইগুলির বেশি কাটতি। ট্রেজার আইল্যান্ড এবং ডঃ জেকিল অ্যান্ড মিঃ হাইড’ মার্কিনদের দারুন পছন্দ।

অমেরিকায় এসে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁর। ডক্টর ট্রুডাের স্যানিটোরিয়ামে ভর্তি হলেন। স্

বামীকে ডাক্তারের জিম্মায় রেখে ফ্যানি সানফ্রান্সিস্কোয় গিয়ে একটা স্টিমার চার্টার করলেন।

উদ্দেশ্য দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ভ্রমণ, সমুদ্রের হাওয়ায় ফুসফুস চাঙ্গা হতে পারে।

 

সকলে মিলে একদিন স্টিমারে চাপলেন। স্টিমার ভেসে চললাে হাওয়াই দ্বীপের দিকে।

মারকেসাস, তারপর তাহিতি, হনলুল, তারপর প্রবাল দ্বীপ গিলবার্ট।

১৮৮৯ সালের ক্রিসমাসের দিন সামােয়া দ্বীপে।

 সামােয়া লেখকের খুব পছন্দ হলাে। এখানেই তিনি বাসা বাঁধবেন।

এখান থেকে আর কোথাও যাবেন না। বছর খানেকের মধ্যে একটা বাড়ি বানালেন। পছন্দমতাে সাজিয়ে তার নাম দিলেন টুসিটালা”।

এখানেই থেকে গেলেন। স্বাস্থ্যের উন্নতি হলাে শেষ পর্যন্ত।

মাঝে একবার সিডনি ঘুরে এলেন। ইংল্যান্ড থেকে বন্ধুরাও কেউ কেউ সমুদ্র পাড়ি দিয়ে টুসিটালায় আসেন।

লুই বেশ সুখে ও শান্তিতেই ছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যু হলাে আকস্মিকভাবে।

পুরােনাে রােগে নয়, মাথায় রক্তক্ষরণের ফলে। ১৮৯৪ সালের ৩ ডিসেম্বর, তার বয়স তখন মাত্র চুয়াল্লিশ।

 

১৮৮১ সালে লুই স্কটল্যান্ডের একটা ইতিহাস লেখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাদ রেখে আরম্ভ করলেন দারুণ এক কাহিনী, নাম দি সি কুক’। গল্পটি বলা হলাে একটি ছােটো ছেলে জিম হকিন্সের মুখ দিয়ে। 

সতেরাে দিন ধরে তিনি একটানা লিখে চলেন। লেখা যখন চলছে তখন তার সাহিত্যিক বন্ধু লন্ডন থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলেন। বন্ধুর নাম ডক্টর অ্যালেকজান্ডার জ্যাপ। কে দিলেন উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি ।

 

পনেরােটা পরিচ্ছেদ লেখা হয়েছিলাে। জ্যাপ সেগুলাে নিয়ে লন্ডনে ফিরলেন এবং ইয়ং ফোসের সম্পাদক হেন্ডারসনকে দিলেন। সাহিত্য জগতে রবার্ট লুই স্টিভেনসন নামটা তখন অপরিচিত নয়।

তাই হেন্ডারসন পাণ্ডুলিপিটা নিলেন, কিন্তু তার সন্দেহ, এলেখা ছােটো পাঠকরা পছন্দ করবে কি না। | হেন্ডারসন লেখাটার দি সি কুক’ নামটা বদলে দিলেন।

বইয়ের শুরুতে ট্রেজার আইল্যান্ডের কথা আছে। তাই তিনি নতুন নাম দিলেন ‘ট্রেজার আইল্যান্ড। লেখাটা কিছুটা অবহেলায় পত্রিকার শেষের দিকে ছাপতে আরম্ভ করলেন।

পত্রিকায় প্রকাশের সময় লেখাটি তেমন সাড়া জাগালাে না। লেখকের নাম দেয়া হয়েছিলাে ক্যাপটেন জর্জ নর্থ, স্টিভেনসনের নাম ছিলাে না। |

Treasure Island– ‘ট্রেজার আইল্যাণ্ড পত্রিকায় প্রকাশের সময় সাড়া না জাগালেও তিন বছর পরে যখন বই আকারে প্রকাশিত হলাে তখন বই বিক্রি হতে লাগলাে হুড় হুড় করে। সেই বই আজো সবাই পড়ছে সমান আগ্রহ নিয়ে।

 

Book Details:

Name: Treasure Island.

Writer: Robert Louis Stevenson.

Category/Genre: Theiler

Language: Bengali

Format: PDF

Source: Internet.

PDF File Size: 4.66 Megabytes

Collected By : bookbdarchive.com

 

CLICK FOR ONLINE VIEW

Collect PDF

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *