Sirate Ayesa (ra:) উম্মুল মুমিনীন সীরাতে আয়েশা রা: (Translate PDF Bangla Boi)
Sirate Ayesa (ra:) সীরাতে আয়েশা রা: আল্লামা সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী রহ. রচিত অনবদ্য গবেষণাগ্রন্থ। এতে
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার পুরাে জীবনচরিত উঠে এসেছে সবচেয়ে নির্ভরযােগ্য সূত্রগুলাের আলােকে
অসাধারণ বিন্যাসে; যাতে একজন নারী নিজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকৃত আদর্শটি গ্রহণ করতে পারেন নির্দিধায়।
গ্রন্থটি উর্দু ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। দুর্বল অনুবাদকের ভাব ও ভাষার আলােকে এর বিচার করা নিঃসন্দেহে অবিচার
হবে। উল্লেখ্য, মূলের অনুসরণে অনুবাদেও আরও দুটো অমূল্য গ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে—আল্লামা সুয়ুতি রহ.-এর আইনুল ইসাবাহ
ফী মাসতাদরাকাত আয়িশা আলাস সাহাবা এবং সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী রহ.-এর হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা কী উমর
পর তাহকীকী নযর; এগুলাে যথাক্রমে গ্রন্থের শেষে সংযজিত।
বইয়ের বিবরণ :
নাম : Sirate Ayesa (ra:) উম্মুল মুমিনীন সীরাতে আয়েশা রা:।
লেখক / লেখিকা : আল্লামা সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী রহ. Sayyed Sulaiman Nadvi (Ra:)।
অনুবাদক : মাওলানা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম Maulana Muhammad Shafiqul Islam ।
বিভাগ / জেনার : সীরাত ।
ভাষা : বাংলা ।
বইয়ের ফর্ম্যাট : পিডিএফ
পৃষ্ঠাগুলির সংখ্যা : 523 পৃষ্ঠা।
পিডিএফ ফাইলের আকার : ১১.৫ মেগাবাইট
সূত্র : ইন্টারনেট।
সংগ্রহ করেছেন : BookBDarchive.com
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
আল্লামা সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী রহ. (১৮৮৪-১৯৫৩) ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা, বিরল ও অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব। সে যুগেও এবং
এ যুগেও তাঁর তুলনা শুধু তিনিই। যে কাজেই হাত দিয়েছেন আল্লাহর মেহেরবানীতে ও আপন যােগ্যতায় শীর্ষস্থানটা দখল
করেছেন তিনিই। যে বিষয়েই কলম ধরেছেন, তাঁর রচনাই পেয়েছে ‘সেরা রচনার স্বীকৃতি। তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে উস্তাদ
আল্লামা শিবলী নুমানী রহ. প্রচণ্ড উৎসাহে নিজের পাগড়ি খুলে তাঁর মাথায় পরিয়ে দিয়েছিলেন। সাইয়্যেদ সুলাইমান রচিত ওমর
খৈয়ম সম্পর্কে—যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ব্যাপক আলােড়ন সৃষ্টি করেছিল—আল্লামা ইকবাল মন্তব্য করেছিলেন, ওমর খৈয়ম-এর
উপর আপনি যা লিখেছেন, তাতে পূর্ব-পশ্চিমের আর কারও পক্ষেই এ বিষয়ে নতুন কিছু লিখা সম্ভব হবে না। আলহামদুলিল্লাহ,
আপনার হাতেই এ বিষয়ে রচনার সমাপ্তি ঘটে গেছে। লেখক নদভী নিজে এ রচনা সম্পর্কে সাদামাটা মন্তব্য করেন-এই রচনা
দ্বারা আমার উদ্দেশ্য পশ্চিমা পণ্ডিতদের এ-কথা জানানাে যে, যেই ওমর খৈয়মের গবেষণা নিয়ে তােমরা এত গর্বিত, সেই বিষয়ে
পূর্বদেশীয় আলেমদের গবেষণাও একেবারে কম নয়। তারাও তােমাদের চেয়ে পিছিয়ে। নেই। আল্লাহর শুকরিয়া, এ রচনা দেখে
পশ্চিমারা সেটা মেনেও নিয়েছে। সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী রহ. নিজ উস্তাদ ও মুরব্বী আল্লামা শিবলী নুমানীর মতােই একজন
হক্কানী আলেম, মুহাক্কিক, গবেষক, মুহাদ্দিস, ফকীহ, সাহিত্যিক ও বক্তা ছিলেন। সারাজীবন লেখালেখির মধ্যে কাটিয়েছেন।
‘দারুল মুসান্নিফীন (লেখক সংঘ) প্রতিষ্ঠা করে উর্দু ভাষা ও সাহিত্যকে এমন অসংখ্য কিতাবাদিতে সমৃদ্ধ করেছেন যা নিয়ে
পাক-ভারত উপমহাদেশ গৌরব করতে পারে। তাঁর সম্পর্কে মাওলানা শাহ মুঈনুদ্দীন নদভী লিখেছেনপরিপূর্ণ ইলমের অধিকারী
ছিলেন তিনি। তিনি একাই ছিলেন তাঁর উদাহরণ। তার মধ্যে ফুটে উঠেছিল ইবনে রুশদ ও ইবনে খালদূন, ইবনে তাইমিয়া, ইবনে
কাইয়্যিম, গাযালী, রূমী, শাহ ওয়ালিউল্লাহ এবং মুজাদ্দিদে আলফেসানী প্রমুখের (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম) ইলমী আমলী নূর ও
নূরের ঝলক। তাঁর রচনাবলী থেকে মুসলিম জাতি যে পরিমাণ উপকৃত হয়েছে তার উদাহরণ খুবই বিরল। ড. ইকবাল তার
সম্পর্কে লিখেছেন‘আজ সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী আমাদের ইলমী জগতের সর্বোচ্চস্থানে অধিষ্ঠিত আছেন। তিনি শুধু
আলেমই নন; তিনি আমীরুল উলামা। শুধু মুসান্নিফই (লেখক) নন; বরং সকল মুসান্নিফের সরদার। তার অস্তিত্ব ইলম ও ফ্যলের
এক প্রবাহমান সমুদ্র—যে সমুদ্র থেকে শত শত নদীর শাখা বের হয়েছে এবং হাজারাে শুকনাে খেত-জমিন তরু-তাজা ও সজীব
হয়েছে। সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী রহ.-এর অপ্রসিদ্ধ আরও এক বিরল মর্যাদার হলাে, তিনি ছিলেন হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে
মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর মুজাজ ও খলীফা। তিনি ১৯৩৮ইং এর আগস্টে হযরত থানভী রহ.-এর
হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। আধ্যাতিক সাধনা পূর্ণ করার পর থানভী রহ, ২২ অক্টোবর ১৯৪২ তাকে খিলাফত প্রদান করে তার
প্রতি প্রচণ্ড খুশি ও আস্থা প্রকাশ করে বলেনআলহামদুলিল্লাহ! এই কাজ নিয়ে আমার আর কোনাে চিন্তা নেই। কারণ আমার পর
এমন এমন সুযােগ্য লােক আমি রেখে যাচ্ছি!