Biye বিয়ে By রেহনুমা বিনতে আনিস ( PDF bangla Boi )
Biye বিয়ে- ছােট্ট একটি শব্দ, কিন্তু এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন । এ কেবল দু’জন ব্যাক্তির
নয়, বরং দু’টি পরিবার এবং অনেক ক্ষেত্রে দু’টি গােষ্ঠীর সম্পর্কের নির্ণায়ক । একটি মেয়ের যখন বিয়ে হয়
তখন কেবল একজন পুরুষই নয় বরং একটি পরিবারের মন জয় করার দায়িত্ব তার ওপর আপনা আপনিই
এসে পড়ে। এই দায়িত্ব পালন করা কতটা সহজ বা কঠিন হবে তা মেয়েটির নিজের সদিচ্ছার ওপর যতটা
নির্ভর করে, ততটাই নির্ভর করে যে বাড়িতে সে যাচ্ছে সে পরিবারের সদ্যসদের মানসিকতার ওপর। অনেক
ক্ষেত্রেই নবাগতার ওপর তার নতুন পরিবারের আশা আখাংকা ও চাহিদার যে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়, সম্পূর্ণ
নতুন পরিবেশে এসে তার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া হয়তাে তার পক্ষে অনেক কঠিন বা ক্ষেত্র বিশেষে
অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। একই ব্যাপার ঘটতে পারে শাশুড়ির ক্ষেত্রেও।
বইয়ের বিবরণ :
নাম : Biye বিয়ে ।
লেখক / লেখিকা : রেহনুমা বিনতে আনিস Rehnuma binte Anis।
বিভাগ / জেনার : ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ।
ভাষা : বাংলা ।
বইয়ের ফর্ম্যাট : পিডিএফ
পৃষ্ঠাগুলির সংখ্যা : ৮৭ পৃষ্ঠা।
পিডিএফ ফাইলের আকার : ৮.৭১ মেগাবাইট
সূত্র : ইন্টারনেট।
সংগ্রহ করেছেন : BookBDarchive.com
প্রায়ই দেখা যায় যিনি শাশুড়ি হন তার পূর্বের কোনাে অভিজ্ঞতা থাকে না। মেয়ে বিয়ে দিলে তবুও কালেভদ্রে
দাওয়াত খাওয়ানাে বা তদারক করতে গেলেই দায়িত্ব সম্পাদন হয়। কিন্তু ছেলে বিয়ে দিলে ঘরে এমন এক
আগন্তুকের অনুপ্রবেশ ঘটে যে কিনা তার ছেলেকে তার সাথে ভাগ করে নেবে। এত বছরের অধিকার কি
একদিনে ছেড়ে দেওয়া যায়? ফলে শুরু হয় নানাপ্রকার দ্বন্দ্ব সংঘাত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাশুড়ি মুরুব্বি
হওয়ার কারণে তাঁর কাছে আশা থাকে বেশি অথচ তিনি অনুভূতিপ্রবণ হওয়ার কারণে তা বাস্তবায়ন করতে
সক্ষম থাকেন না। অনেকক্ষেত্রে তিনি বয়ােজ্যেষ্ঠ হওয়ার কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন এবং এর
ফায়দা তােলার চেষ্টা করেন। তাই বৌদের কষ্ট পাওয়ার কাহিনী যত শােনা যায়, শাশুড়িদের তত না । তবে
মাঝখানে পড়ে কষ্ট পায় শাশুড়ির ছেলে, বৌয়ের স্বামী। বেচারার অবস্থা হয়ে যায় না ঘরকা না ঘাটকা । সে
না পারে মাকে সামলাতে আর না পারে বৌকে বােঝাতে। শশুর সাহেব এখানে একটা ভূমিকা রাখতে পারেন
হয়তাে। কিন্তু নিরপেক্ষতার একটা সমস্যা হল এটা মানুষকে চোখের সামনে অন্যায় সংঘটিত হতে দেখেও
চুপ করে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে । কার্যত এই সম্পূর্ণ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরবর্তী প্রজন্ম।
কেননা বিয়ে নিছক দু’জন মানুষের মাঝে প্রেম ভালােবাসার সম্পর্ক নয়, বরং দু’জন মানুষ মিলে একটি
বাগান রচনা করার প্রচেষ্টা। এই বাগানে যত সার দেওয়া হবে, আগাছা পরিষ্কার করা হবে, পানি দেওয়া হবে
বাগানের ফল ততই ভালাে মানের হবে । আর বাগান যদি পড়ে থাকে অযত্নে, তাতে ঠিকমতাে সার পানি
দেওয়া না হয়, আগাছা জন্মায় তাহলে ফল হবে জীর্ণশীর্ণ, পােকায় খাওয়া। সুতরাং ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা
মনে করে শাশুড়ির চেষ্টা করতে হবে বৌকে আপন করে নিতে। কেননা সৃষ্টিকর্তা তার মাধ্যমেই তাঁর
পরিবারকে বর্ধিত করবেন যেমন করেছেন শাশুড়ির মাধ্যমে যখন তিনি বৌ ছিলেন । বৌকে চেষ্টা করতে হবে
শাশুড়িকে মায়ের মর্যাদা দিতে কেননা স্বামীকে সে জন্মও দেয়নি মানুষও করেনি।
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
রেহনুমা বিনতে আনিস এর জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তিনি তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন ঢাকায় এবং কৈশাের কাটিয়েছেন দুবায়ের আবুধাবী। পরিণত বয়স পার করেছেন ভারতে এবং বিয়ের পর তিনি ফিরে আসেন জন্মস্থান চট্টগ্রামে । দীর্ঘদিন কানাডায় প্রবাস জীবন কাটিয়ে বর্তমানে মালয়েশিয়াতে বসবাস করছেন লেখিকা । আদর্শিক , উদারপন্থী এবং জ্ঞানানুসন্ধানী পরিবারে রেশমের গুটির মতাে নিরাপদ ও পরিশীলিত পরিবেশে বেড়ে ওঠা এই লেখিকা । জীবনের পরবর্তী অংশে বন্ধুবান্ধব, পেশা, বিয়ে ইত্যাদির কারণে ব্যাপক সামাজিক সংস্পর্শে আসা। এই লেখিকা মূলত মুখচোরা বইপােকা। নানা রঙের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কিছু তুলে ধরার প্রয়াস এবং সমাজের নানদিক দিয়ে চিন্তাশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানাের জন্যই মাঝেমধ্যে টুকটাক লেখালেখি করেন । ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স এবং শিক্ষকতা করলেও বিশ্বসাহিত্য এবং জ্ঞানের কোনাে অঙ্গনে বিচরণে আপত্তি নেই তার । ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং-এ শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন আবুধাবীস্থ ইয়াং টাইমস ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখিকা হিসেবে লেখার হাতেখড়ি। মাঝে বহুদিন পড়াশােনার মগ্ন থাকার পর মূলত ছাত্রছাত্রীদের চাপাচাপিতে লেখালেখিতে ফিরে আসেন ।