Alo Andhokare Jai আলো অন্ধকারে যাই By Anisul Haque (PDF Bangla Boi)
Alo Andhokare Jai আলো অন্ধকারে যাই উপন্যাসটি আনিসুল হক এর একটি অসাধারণ উপন্যাস। এই উপন্যাসে লেখক একটি সম্পূর্ণ অন্ধ ছেলের জীবনের ঘটনা তুলে ধরেছেন। তার জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে অন্তত দুবার।
১০ বছর বয়সে, ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় তার দুচোখের আলাে নিভে যাই । সে হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ অন্ধ। তারপর বাবা-মা ভাইবােন ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয় দষ্টিপ্রতিবন্ধিদের আবাসিক স্কুলে। চারদিক অন্ধকার, নতুন পরিবেশ, নতুন ধরনের পড়া, নতুন ধরনের মানুষ জন , আর কঠোর শৃঙ্খলা-সেই নতুন জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ওই ছােট্ট ছেলেটাকে কী কষ্টই না স্বীকার করতে হয়েছিল।
কঠিনতম সংগ্রাম শেষে যখন সে ভর্তি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে, তখন তার জীবনে নেমে আসে আরেক অন্ধকার। তার বাবার কর্মস্থল আদমজী পাটকল বন্ধ হয়ে গেলে তাদের পরিবার রাতারাতি পথে বসে পড়ে। তারপরও তার জীবনে আছে আলাে, আছে প্রেম-বিরহ, আনন্দ-অভিমান।
প্রতিবন্ধীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই বিরূপ রাষ্ট্রের পেতে রাখা বাধা পদে পদে পেরিয়ে আছে তার এবং তার মতাে প্রতিবন্ধীদের নিত্যদিনের পথচলা। বাংলা সাহিত্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে এই রকম সত্যানুসন্ধানী বস্তু-হৃদয়-সময়নিষ্ঠ কথাসাহিত্যিক প্রয়াসের আর কোনাে তুলনা আছে কিনা, আমাদের জানা নেই।
আনিসুল হকের Alo Andhokare Jai আলো অন্ধকারে যাই হয়তাে সেই অভাবটা পূরণ করবে খানিকটা। আনিসুল হকের উপন্যাসের মতাে আলাে-অন্ধকারে যাই প্রবেশ করতে পেরেও আমরা গৌরবান্বিত।
Book Details:
Name : Alo Andhokare Jai আলো অন্ধকারে যাই ।
Writer : Anisul Haque আনিসুল হক ।
Category/Genre: Novel
Language: Bengali
Format: PDF
Pages : 61 Pages.
PDF File Size: 1.05 Megabytes
Source: Internet.
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
Alo Andhokare Jai আলো অন্ধকারে যাই বইয়ের লেখক
আনিসুল হক একজন বাংলাদেশী কবি, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সত্য ঘটনা নিয়ে তাঁর লেখা মা বইটি বেশ জনপ্রিয়। বাংলা ভাষার পাশাপাশি বইটি দিল্লী থেকে ইংরেজি ভাষায় এবং ভুবনেশ্বর থেকে উড়ে ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে ।আনিসুল হকের জন্ম ৪ মার্চ ১৯৬৫ সালে রংপুর বিভাগের নীলফামারীতে। তাঁর পিতার নাম মো. মোফাজ্জল হক এবং মায়ের নাম মোসাম্মৎ আনোয়ারা বেগম। তাঁর স্ত্রীর নাম মেরিনা ইয়াসমিন। একমাত্র কন্যা পদ্য পারমিতা।তিনি রংপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৮১ সালে এস.এস.সি. এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এইচ.এস.সি. পাস করেন। উভয় পরীক্ষাতেই রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মেধাতালিকায় স্থান পান। এসএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় তিনি ৩য় এবং এইচএসসিতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৮ম স্থান লাভ করেন। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন।
আনিসুল হক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ে বিভাগে যোগদান করেন। অল্প কিছুদিন চাকরির পরই তা ছেড়ে দিয়ে সাংবাদিকতায় চলে আসেন। তিনি ১৯৮৭ সালে সাপ্তাহিক দেশবন্ধু পত্রিকার সহসম্পাদক, ১৯৮৯ সালে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক খবরের কাগজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত দৈনিক ভোরের কাগজের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দৈনিক প্রথম আলোর সাথে যুক্ত আছেন। তাঁর মূল ঝোঁক লেখালেখিতে। পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন। বুয়েটে পড়ার সময় কবিতার দিকে বেশি ঝোঁক ছিল। পরবর্তীতে এর পাশাপাশি কথাসাহিত্যেও মনোযোগী হন। উপন্যাস, বিদ্রুপ রচনা, নাটক রচনায় প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। ২০১০ সালে তিনি আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রাম (আইডব্লিউপি) কর্মশালায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লেখকদের সাথে যোগ দেন। তিনি ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩৭ জন লেখক আইডব্লিউপির কর্মশালায় যোগ দেন।১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৩০টি দেশের এক হাজার ২০০ লেখক অংশ নেন।
Collect PDF