Dorjar Opashe By Humayun Ahmed – Himu serise (Bengali Translation, PDF Book)
Dorjar Opashe – দরজার ওপাশে বইটির গল্প শুরু হিমুর জগাখিচুড়ি দিয়ে। তারপরে গল্পটি নদীর জলের মতো চলতে থাকে। হুমায়ূন আহমেদ তাত্ক্ষণিকভাবে
পাঠককে গল্পের মাঝখানে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সম্মোহন শক্তি দ্বারা। হিমুর বন্ধু জহির, রফিক, রফিকের স্ত্রী বানু, জহিরের
বোন তিতলি আস্তে আস্তে গল্পে হাজির। ভাগ্যক্রমে হিমুর চাচা, তার চাচাত ভাই বাদল এবং পুলিশের ওসি অগত্যা হিমুর অন্য
বইয়ের মতো সংযুক্ত করে। হুমায়ূন আহমেদ অবিচ্ছিন্নভাবে কখনও কখনও তাঁর সম্ভাব্য ব্যালড সংলাপের মাধ্যমে বা তাঁর খুব
সাধারণ বক্তৃতায় দর্শনের মিশ্রণ দিয়ে পাঠকদের অনুপ্রাণিত করেন।তবুও, এই বইয়ের অসাধারণ শোভনটি হ’ল চাঁদনি রাতের
আধ্যাত্মিক পরিবেশের যাদু বর্ণনা যা পাঠকদের খুব সহজেই কিদলের মায়ায় আকৃষ্ট করে। তদুপরি, সর্বজনীন সত্যের পিছনে
হিমুর অবিচ্ছিন্ন সংগ্রামের কাহিনী যা বইটিতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা স্পষ্টতই বই পিপাসুদের আনন্দিত করবে। সব
মিলিয়ে “দরজার ওপাশে ” বইটি অসাধারণ। এটি এমন একটি বই যা পাঠকরা বইটি পড়ে শেষ করতে পারেন না। স্বতন্ত্রভাবে,
আমি মনে করি যে হুমায়ূন আহমেদের সমস্ত ভক্তকে অবশ্যই এই বইটি পড়তে হবে।
Book Details:
Name : Dorjar Opashe.
Writer : Humayun Ahmed
Category/Genre: Novel.
Language: Bengali
Format: PDF
Pages : 97 Pages.
PDF File Size: 10.2 Megabytes
Source: Internet.
Collected By: BookBDarchive.com
প্রস্তাবনা:
তার ডাক নাম হিমু। ভাল নাম হিমালয়। বাবা আগ্রহ করে
হিমালয় নাম রেখেছিলেন, যেন বড় হয়ে সে হিমালয়ের মত
হয় – বিশাল ও বিস্তৃত, কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে নয়। হাত দিয়ে
স্পর্শ করা যায়। ইচ্ছে করলে তিনি ছেলের নাম সমুদ্র রাখতে
পারতেন। সমুদ্রও বিশাল এবং বিস্তৃত। সমুদ্রকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা, সমুদ্রে আকাশের ছায়া পড়ে।
কিন্তু তিনি সমুদ্র নাম না রেখে রাখলেন হিমালয়। কঠিন মৌন পর্বতমালা, যার গায়ে আকাশের ছায়া পড়ে না ঠিকই কিন্তু সে
নিজেই আকাশ স্পর্শ করতে চায়। হিমুর বাবা চেয়েছিলেন হিমু একজন মহাপুরুষ হবে, যে মহাপুরুষ পরম সত্য জানেন। কিন্তু
হিমু কি চেয়েছিল ? আমরা তার বাবার আকাক্ষার কথা জানি, হিমুর আকাঙ্ক্ষা জানি না। সে কিসের সন্ধান করে বা আসলেই
সে কোন কিছুর সন্ধান করে কিনা তা নিয়েই লেখা হল “দরজার ওপাশে। যদিও আমি খুব গুরুত্বের সঙ্গে লেখাটি লিখেছি তবু
বিনীত অনুরােধ করছি কেউ যেন গুরুত্বের সঙ্গে লেখাটি গ্রহণ না করেন। মিসির আলী নামে আমার একটি চরিত্র আছে। সে
কাজ করে লজিক নিয়ে। তার চিন্তাভাবনা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা যায় কিন্তু হিমু কাজ করে এন্টি-লজিক’ নিয়ে। আমাদের
এই জগতে এন্টি-লজিকের স্থান নেই।
হুমায়ূন আহমেদ ৫ই মে ১৯৯২