ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে In the Cantteen of the University -ডঃ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান আরিফী (Translate PDF Bangla Boi)
ড.মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী রচিত বইয়ের এর বাংলা অনুবাদ “ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে” In the Cantteen of the University । বইয়ের নাম দেখে মনে হচ্ছে কোন সাধারন গল্প বা উপন্যাসের বই। কিন্তু মােটেও তা নয়। লেখক ইসলামে পর্দার
যথাযথ বিধানকে কাহিনীর মােড়কে অত্যন্ত সুন্দরভাবে এখানে উপস্থাপন করেছেন। কুরআন ও হাদিসের আলােকে নারীর পর্দা
সম্পর্কে বিধানগুলাে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। নারী দুনিয়ার সকল সম্পদের মধ্যে উত্তম ও মূল্যবান সম্পদ। আর সম্পদের
রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব তাদের নিজেদের । বর্তমান সময়ে নারীদের জন্যে এক যুগান্তকারী বই “ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে”।
সত্যিকার অর্থে পর্দার হুকুম কি? গুরুত্বপূর্ণ কুরআনের আয়াত, হাদিস, মাসলা মাসায়েল সহ সব কিছু এক মলাটে গল্পাকার
সাবলীল ভাষায় উল্লেখ করেছেন এই বইতে । যাদের ইসলামে নারীর অধিকার এবং পর্দার বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তারা এই
বই পড়লে সেসব ধারণা সম্পর্কে পরিস্কার হতে পারবেন, আশা করা যায়।
Book Details:
Name : ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে In the Cantteen of the University .
Writer : ডঃ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান আরিফি.
Translator : মাওলানা মাহমুদুল হাসান
Category/Genre: ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ .
Language: Bengali বাংলা
Book Format: PDF
Number of Pages : 132 Pages.
PDF File Size: 11.1 Megabytes
Source: Internet.
Collected By: BookBDarchive.com
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বর্তমান আরব জাহানের বিশিষ্ট ডক্টর । খুব কম বয়সেই তিনি বক্তৃতা ও লেখার
মাধ্যমে আরব অনারব সর্বত্র সাড়া ফেলে দিয়েছেন। পশ্চিমা দুনিয়ায়ও তিনি এখন এক নামে পরিচিত। ডক্টর আরিফীর জন্ম
১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই মাসে । বংশ পরিচয়ে তিনি ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ রাযিয়াল্লাহু আনহু’র
উত্তরসূরী। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন দাম্মামে। এরপর সৌদী আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশুনা করেন
এবং রিয়াদের বাদশা সউদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর পিএইচডি’র বিষয় ছিল- The Views of
Shaykh alIslam Ibn Taymiyyah on religious mysticism – a Compilation and Study. মুহাম্মাদ আরিফীর শিক্ষকদের মধ্যে
অন্যতম হলেন বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল, শায়খ আবদুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আবদুর রহমান
ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ অন্যতম । তিনি ইলমে ফিক্হ ও ইলমে তাফসীর শিক্ষা করেন শায়খ আবদুল আযীয ইবনে
বায রহ.-এর কাছে । ডক্টর আরিফী জীবনের মূল কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ‘দাওয়াত ইলাল্লাহ’কে। এই লক্ষে তিনি বিভিন্ন
স্থানে বক্তৃতা করে থাকেন। এরপরও তিনি রাজধানী রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর এবং আল-বাওয়ারদী জামে
মসজিদের খতীব । শুক্রবার জুমার সময় তাঁর মসজিদে তিল ধারণের ঠায় থাকে না । ডক্টর আরিফী দাওয়াহ বিষয়ক বিভিন্ন
সংগঠনের সদস্য। একইভাবে তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইসলামী অর্গানাইজেশনেরও মেম্বার । এ সূত্রে রাবেতা আলমে ইসলামী
ও বিশ্ব মুসলিম উলামা ঐক্য পরিষদে তার সদস্যপদ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। সুসাহিত্যিক ডক্টর আরিফী একজন সুবক্তা ।
তাঁর বক্তৃতার কয়েক ডজন অডিও-ভিডিও ক্যাসেট বাজারে পাওয়া যায় এবং সেগুলাে থেকে মুসলিম সমাজ অনেক উপকৃত
হচ্ছে। মাত্র চুয়াল্লিশ বছর বয়স্ক এই বিজ্ঞ আলেম প্রায় বিশ/পঁচিশটি পুস্তক রচনা করেছেন। সেগুলাের প্রত্যেকটি বিক্রির
বেলায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তবে বক্ষমাণ পুস্তকটি তার অন্যান্য বইয়ের রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে। দুনিয়ার অনেক ভাষায়
অনূদিতও হয়েছে এই বইটি। আমরা তার নেক হায়াত কামনা করছি ।
অনুবাদক সম্পর্কে কিছু কথা :
মাহমুদুল হাসান জন্ম ২৩ জুন ১৯৮২ সালে। গ্রামের বাড়ি চালপুর জেলার অন্তত শাহরাস্তি থানার সেবকরা গ্রামে। পিতা মাে,
আবুল হােসেন ছিলেন সেনাবাহিনীর লােক, সেই সূত্রে এক যাযাবর শৈশব জীবন কেটেছে নানা জায়গায়। যেখানেই গেছেন
লেফট-রাইট আর সম আওয়াজের সালুট তার পিছু পিছু। পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের ইচ্ছে ছিল তাকে সেনা অফিসার
বানানাের। কিন্তু নাতিকে হাফেয বানানাের অসিয়ত ছিল মরহুম দাদা ওসমান গণির। মা ফেরদৌস বেগমের আশাও ছিল তাই।
সুতরাং রাইফেল-উর্দির স্বপ্নকে চিরতরে বিদায় দিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল হিফজখানায়। ভর্তি হতে হয়েছিল ঢাকা জেলার শেষ
প্রান্তে সাভারের সবচেয়ে পুরনাে ও ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা- জামেয়া মাদানিয়া রাসফুল বাড়িয়ায়। হিফজ শেষ করে কিতাৰ
বিভাগের প্রথম ক্লাশে পড়া অবস্থায় দীর্ঘ এক বন্ধ কেটেছিল দূর সম্পর্কের এক মামার বাড়িতে। সে বাড়ির বুক সেলফ থেকে
প্রথমে নানা রকম বই পড়ার সুযােগ হয়েছিল তার। চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে দিয়েছিল বুক সেলফের সেই বইগুলাে। পরে নজরুল
ইসলাম পথিক নামেৱ নিভৃতচারী এক সাহিত্যিক সুহৃদের মাধ্যমে লেখালেখির হাতেখড়ি ও প্রাথমিক কসরতটা হয়েছিল। উপরি
উক্ত মাদরাসা থেকেই তিনি ২০০৫ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন সেই মাদরাসায়। এখনাে
নিয়ােজিত আছেন একই পেশায়।