কুরআন সৃষ্টিতত্ত্ব ও বিগ-ব্যাংগ – মুহাম্মদ আনওয়ার হুসাইন (PDF Bangla Boi)
কুরআন সৃষ্টিতত্ত্ব ও বিগ-ব্যাংগ বই থেকে কিছু কথা : মহান আল্লাহ্ নিখিল বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। এই সৃষ্টির রহস্য জানানাের জন্য। মানুষ ও জ্বীন সৃষ্টি করেছেন। যাতে তারা সকল বিষয় সম্পর্কে অবহিত হয় এবং সঠিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। একই কারণে আল্লাহ্ তা’আলা কালে কালে গােত্রে-গােত্রে বাণীবাহক পাঠিয়েছেন। এঁদের মধ্যে সবাই নবী এবং কেউ কেউ রাসূল। এসব রাসূল আল্লাহর বাণী সমৃদ্ধ বক্তব্য ও গ্রন্থ পেয়েছেন। সর্বশেষ গ্রন্থ আল-কুরআন পেয়েছেন শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)।। আল-কুরআন কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশিকা। দুনিয়ার শান্তি এবং আখেরাতের মুক্তির জন্য মানুষ ও জ্বীনকে প্রতিনিয়ত আল-কুরআনের দিকে ফিরে যেতে হবে। অন্যান্য বিষয়ের সাথে আল কুরআনের ছত্রে ছত্রে বিজ্ঞানের নানা তথ্য ছড়িয়ে আছে।
এসব যে বিজ্ঞানের কথা, শুরুতে তা বুঝা যায়নি। সভ্যতার অগ্রযাত্রার সাথে সাথে বিজ্ঞানের বিষয়গুলাে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। একজন বিজ্ঞানী যখন গবেষণার মনােভঙ্গি নিয়ে গভীর অভিনিবেশের সাথে আল-কুরআন অধ্যয়ন করেন, তখন তিনি কুরআনের ছত্রে ছত্রে বিজ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য উপলব্ধি করেন। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার অর্থ হলাে সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করা। এই দুই অগ্রযাত্রার শুভারম্ভ মানুষের আবির্ভাবকালে। কালে কালে তা সফল হয়েছে, সার্থক হয়েছে।
বাণীবাহকরা শাব্দিক অর্থে বিজ্ঞানী না হলেও বিজ্ঞানের বাণীবাহক ছিলেন তাঁরা। সভ্যতার দুর্ভাগ্য, স্রষ্টার বাণীকে অবিসংবাদিত তথ্য হিসেবে হৃদয়ঙ্গম করার এবং বাণীবাহকদের মানবতার মহান শিক্ষক হিসেবে মেনে নেয়ার অনিবার্য প্রয়াস সবসময় বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মানুষ সীমাবদ্ধ ও খণ্ডিত প্রজ্ঞা নিয়ে অসীম ও অখণ্ড জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিভূ হওয়ার প্রয়াস পেয়েছে। ফলে অন্যান্য অসারতা ও অবিমিশ্ৰকারিতার সাথে বিজ্ঞানের নামে অজ্ঞানতা ও অন্ধকারের চর্চাও কম হয়নি। সভ্যতার অগ্রযাত্রা সে কারণে আলােকেতিমিরে’ হয়েছে, স্বচ্ছন্দ, পরিপূর্ণ এবং আলাে ঝলমল হতে পারেনি। অথচ সভ্যতাকে লাবণ্যময় করার জন্য প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা তাঁর সর্বশেষ বাণীতেও জ্ঞান-বিজ্ঞানকে উচ্চকিত করেছেন।
কিন্তু অজ্ঞতা ও অবজ্ঞাবশতঃ সেসব উন্মােচিত না করেই মানুষ মহাবিশ্বের ভগ্নাংশে বিচরণ করে আত্মপ্রসাদে বিমােহিত হয়েছে। অবশ্য হালে বিজ্ঞানীদের একটি অংশ কৌতূহলবশতঃ কুরআনে বর্ণিত বিজ্ঞানের আয়াতগুলাে পর্যালােচনা করার প্রয়াস পেয়েছেন। এই প্রয়াসে মানবতার জন্য তথ্যের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। প্রমাণিত হচ্ছে ১৪শ’ বছর পূর্বেই মহাবিশ্বের সকল খুঁটিনাটি বিষয় মহা বিজ্ঞানময় পালনকর্তা ও তাঁর সর্বশেষ বাণীবাহক মুহাম্মদ (সা)-এর মাধ্যমে জাতিকে সােচ্চারে অবহিত করেছেন।
বইয়ের বিবরণ :
নাম : The Qur’an, Cosmology And The Big Bang – কুরআন, সৃষ্টিতত্ত্ব ও বিগ-ব্যাংগ ।
লেখক / লেখিকা : Mhammod Anowar Hussain মুহাম্মদ আনওয়ার হুসাইন ।
অনুবাদঃ ।
বিভাগ / জেনার : Quran And Science কোরআন ও বিজ্ঞান।
প্রকাশনী: র্যাকস পাবলিকেশনস ।
ভাষা : বাংলা ।
বইয়ের ফর্ম্যাট : পিডিএফ এইচডি স্ক্যান
পৃষ্ঠাগুলির সংখ্যা : ৩২৩ পৃষ্ঠা।
পিডিএফ ফাইলের আকার : ২৫.৯ মেগাবাইট
সূত্র : ইন্টারনেট।
সংগ্রহ করেছেন : BookBDarchive.com
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
মুহাম্মাদ আন্ওয়ার হুসাইন, পিতা মরহুম জামাল আহাম্মদ, মাতা জয়গুনা বানু, | লেখকের জন্ম চাদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ
থানার অন্তর্গত দেইচর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৯ সালে। তাঁর শৈশবকাল গ্রামেই কাটে।
পিতার চাকুরী সুবাদে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে পড়াশুনা করতে হয়। কৈশরকাল কাটে ভৈরবে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার
সাথে সাথে তিনি চট্টগ্রামে পাহাড়তলী রেলওয়ে হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন।
অতঃপর যখন তিনি ৭ম শ্রেণীতে উন্নীত হন তখনই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়ে যায় ফলে তাঁর শহরে থাকা
অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং তিনি পরিবারের সবার সাথে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। সেখানে গ্রামের স্কুলে ৭ম শ্রেণীতে ভর্তি হন
১৯৭৪ সালে তিনি এস.এস.সি পরীক্ষায় সাফল্যজনকভাবে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে
ভর্তি হয়ে ১৯৭৯ সালে পাওয়ার টেকনােলজি থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
১৯৮০ সাল থেকে তিনি তিন বছর চট্টগ্রাম পাের্টে এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরী করেন। অতঃপর সৌদি আরবের রিয়াদে
একটি কোম্পানীতে চাকুরী নেন। একই কোম্পানীতে প্রায় ২০টি বছর চাকুরীরত থাকাকালে কুরআন ও বিজ্ঞান বিষয়ে তার
লেখার খুবই আগ্রহ জাগে এবং উক্ত বিরাট সময়ে তিনি কুরআন ও বিজ্ঞানের অসংখ্য দলিল সংগ্রহ করেন। যার উপর ভিত্তি
করে পরবর্তী সময়ে তিনি কাঙ্ক্ষিত লেখায় নিজেকে পরিপূর্ণরূপে আত্মনিয়ােগ করেন।
বাংলাদেশে আসার পর তিনি ডিভাইন লাইট রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে তার গবেষণা চালিয়ে যান। বিগত কয়েক বছর থেকে
‘লাইট আপন লাইট’ নামে একটি জনপ্রিয় টিভি প্রােগ্রাম তিনি এককভাবে পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের
কুরআন ও বিজ্ঞান গবেষকদের মধ্যে যােগাযােগ সাধন করে এ কাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। ২০০৭ সালে তিনি অন্যান্যদের
সাথে, ‘দি রিসার্চ ফাউন্ডেশন ফর কুরআন এন্ড সাইন্স’ প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই সাধনার পেছনে একটি মাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
কাজ করছে, আর তা হচ্ছে মহান স্রষ্টা ও প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন। আমরা তার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল
কামনা করছি।