Rahe Belayat রাহে বেলায়াত By ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (PDF Bangla Boi)
Rahe Belayat রাহে বেলায়াত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর মহামূল্যবান একটি কিতাব। যিকিরের নামে, দু’আ, দরুদ ও ওযীফার নামে বিভিন্ন বুজুর্গের বানানো শব্দ, নিয়ম, পদ্ধতি ইত্যাদি অতি যত্ন সহকারে পালন করা হচ্ছে কিন্তু রাসূল (সঃ) এর দেখানো পদ্ধতি অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। তাই রাসূলের (সঃ) দেখানো পথে আল্লাহ তায়ালার যিকিরের মাধ্যমে যিকিরের মূল উদ্দেশ্য আর ফায়দা যাতে হাসিল করা যায় সেই উদ্দেশ্যেই মহামূল্যবান কিতাবটি। আমাদের সকলের কিতাবটি পড়া উচিত।
বইয়ের বিবরণ:
নাম: Rahe Belayat রাহে বেলায়াত ।
লেখকঃ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ।
সম্পাদনা : আসিফ আদনান
বিভাগ / জেনার: ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ।
ভাষা: বাংলা ।
বইয়ের ফর্ম্যাট: পিডিএফ
পৃষ্ঠাগুলির সংখ্যা: ২১৫ পৃষ্ঠা।
পিডিএফ ফাইলের আকার: ১.৪৯ মেগাবাইট
সূত্র: ইন্টারনেট।
সংগ্রহ করেছেন: BookBDarchive.com
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
ঝিনাইদহ এ জন্ম নেওয়া ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর একাধারে ইসলামী চিন্তাবিদ, টিভি আলোচক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি)
আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক আলেম, গবেষক ও লেখক ছিলেন। এই বরেণ্য ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়
১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামে। তার পিতা খোন্দকার আনওয়ারুজ্জামান ও মা বেগম
লুৎফুন্নাহার। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন । এরপর একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৫
সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল ও ১৯৭৯ সালে হাদিস বিভাগ থেকে কামিল পাস করার উচ্চতর শিক্ষার জন্যে সৌদি
আরব গমন করেন। রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮৬ সালে অনার্স, ১৯৯২
সালে মাস্টার্স ও ১৯৯৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি উত্তর
রিয়াদ ইসলামি সেন্টারে দাঈ ও অনুবাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রিয়াদে অধ্যয়নকালে তিনি বর্তমান সৌদি বাদশাহ ও
তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমানের হাত থেকে পর পর দু’বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন। সৌদিতে তিনি শায়খ বিন
বাজ বিন উসায়মিন, আল জিবরিন ও আল ফাউজান সহ বিশ্ববরেণ্য স্কলারদের সান্নিধ্যে থেকে ইসলাম প্রচারে বিশেষ দীক্ষা
গ্রহণ করেন।
রিয়াদে অধ্যয়নকালে তিনি উত্তর রিয়াদ ইসলামি সেন্টারে দাঈ ও অনুবাদক হিসেবে প্রায় তিন বছর কর্মরত
ছিলেন।লেখাপড়া শেষ করে ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের
লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে ইসলামি উন্নয়ন ও আরবি ভাষা বিষয়ে উচ্চতর
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।২০০৯ সালে তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে প্রফেসর পদে উন্নীত হন।
ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুরে আল ফারুক একাডেমি ও আস সুন্নাহ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন বরেণ্য এই ইসলামী ব্যক্তিত্ব। সেখানে
ছেলেমেয়েদের হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব হিসেবে কাজ করেছেন শিক্ষা ও ঝিনাইদহের চ্যারিটি
ফাউন্ডেশনে, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইনস্টিটিউটের। এছাড়াও তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দারুস
সালাম মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শায়খুল হাদিস হিসেবে সহীহ বুখারীর ক্লাস নিতেন। তিনি ওয়াজ মাহফিলের অত্যন্ত জনপ্রিয়
একজন আলোচক ছিলেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফর করে তিনি মানুষকে শোনাতেন শাশ্বত ইসলামের বিশুদ্ধ বাণী।
বাংলা ইংরেজি ও আরবি ভাষায় সমাজ সংস্কার, গবেষণা ও শিক্ষামূলক প্রায় পঞ্চাশের অধিক গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। তার
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- এহয়াউস সুনান, তরিকে বেলায়েত, হাদিসের নামে জালিয়াতি, ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ ইত্যাদি।
ফুরফুরা শরীফের পীর আবদুল কাহহার সিদ্দীকির মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও
এক ছেলে রয়েছে।