The Pearl দ্য পার্ল by John Steinbeck (Translate PDF Bangla Boi)
The Pearl দ্য পার্ল জন স্টাইনবেকের বিখ্যাত একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কিনাে এক সাধারণ গরিব মানুষ।
সমুদ্রে ডুব দিয়ে মুক্তো তুলে এনে ঝানু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে সামান্য দামে। কিনাে এক অসাধারণ পুরুষ। বউ জুয়ানার
চোখে সে ঈশ্বরের মতাে। সমুদ্রের উথালপাতাল তরঙ্গের সঙ্গে রঙ্গ করে, দৈত্যের শক্তিতে আগলে রাখে সংসার। তাদের সেই
নিরালা শান্ত জীবন একদিন চরম অশান্ত হয়ে ওঠে এক মহামূল্য মুক্তোকে ঘিরে। সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন ভিড় করে আসে, আর
আসে দ্বন্দ্ব-দ্বিধা-সংশয়-হিংসা-লােভ-নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
জীবন মূল্যহীন হয়ে ওঠে সামান্য মুক্তোর জন্য। এ সেই চিরদিনের রূপকথা—দিনে দিনে, দেশে দেশে যা শুধু চেহারা বদলায়,
চরিত্র বদলায় না।
Book Details:
Name : The Pearl দ্য পার্ল .
Writer : John Steinbeck জন স্টাইনবেক .
Translated by: Khandaker Mazharul Karim খন্দকার মাজহারুল করিম .
Category/Genre: Theiler.
Language: Bengali
Format: PDF
Pages : 64 Pages.
PDF File Size: 2.60 MB
Source: Internet.
Collected By: BookBDarchive.Com
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
নােবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন ঔপন্যাসিক জন আর্নেস্ট স্টাইনবেকের জন্ম ১৯০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ক্যালিফোর্নিয়ার
স্যালিনাসে। ছেলেবেলায় পড়াশুনা করেন নিজ শহরের হাইস্কুলে। ১৯১৮ সালে গ্র্যাজুয়েশনের পর ভর্তি হন স্ট্যানফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯২৫ সাল পর্যন্ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ ছাত্র ছিলেন তিনি। প্রথম বিয়ে ১৯৩০ সালে, ক্যারােল হেনিং-এর
সঙ্গে। ১৯৪৩ সালে। ছাড়াছাড়ির পর জুইন কনিয়ারকে বিয়ে করেন। দুই ছেলের জন্ম এই সংসারে। এ-বিয়েও তার টেকেনি।
১৯৪৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ১৯৫০ সালে আবার তিনি বিয়ে করেন ইলেনি স্কটের সঙ্গে।
জীবিকার জন্য অনেকবার পেশা বদলেছেন জন স্টাইনবেক। পত্রিকার রিপাের্টার ছিলেন। নবিশ চিত্রকর হিসেবে ছবি এঁকেছেন
কিছুদিন। অট্টালিকা তৈরির জোগালের কাজ ও করেছেন। কেমিস্ট হিসেবে চাকরি আর কেয়ারটেকারের কাজের অভিজ্ঞতা
হয়েছে তার । এমনকি ফলবাগানে ফলও তুলেছেন একসময় । লেখালেখির অভ্যেস আগেও ছিল। তবে লেখাকে পুরােপুরি পেশা
হিসেবে গ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালে । | জন স্টাইনবেকের উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে : কাপ অভ গােল্ড’, ‘দ্য প্যাশ্চারস অভ
হেভেন’, ‘টু অ্যা গড় আননৌন’, ‘টরটিলা ফ্যাট’, ‘ইন ডুবিয়াস ব্যাটু’, ‘সেন্ট কেটি দ্য ভারজিন, অভূ মাইস অ্যান্ড মেন’, ‘দ্য রেড
পপানি’, ‘দ্য লং ভ্যালি’, ‘দ্য গ্রেপস অভূ র্যথ’, ‘দ্য মুন ইজ ডাউন’, ‘বস অ্যাওয়ে’, ক্যানারি রৌ’, ‘দ্য ওয়েওয়ার্ড বাস’, ‘ The Pearl দ্য পার্ল ’, ‘অ্যা রাশান জর্নাল’, ‘বার্নিং ব্রাইট’, ‘দ্য লগ ফ্রম দ্য সী অত্ কর্টিজ’, ‘ইস্ট অত্ ঈ’, ‘সুইট থার্সডে’, ‘দ্য শর্ট রেইন অ
পিপিন ফোর’, ‘ওয়ান্স দেয়ার ওঅজ অ্যা ওঅর’, ট্র্যান্স উইথ চার্লি’ প্রভৃতি।
পত্রগুচ্ছের জন্যও জন স্টাইনবেক অমর হয়ে থাকবেন। তার অসম্ভব সুন্দর চিঠিপত্রের দুখানা সংকলন সারা পৃথিবীতে
সমাদৃত। ইলেনি স্কটের সম্পাদিত বইটির নাম স্টাইনবেক : অ্যা লাইফ ইন লেটারস। | জন স্টাইনবেকের লেখালেখি সম্পর্কে
ওয়ারেন ফ্রেনশ বলেন : জীবদ্দশায় তার লেখার সমালােচকরা মাঝে মাঝে হতভম্ব হয়ে যেতেন। তাঁর প্রত্যেক নতুন উপন্যাসই
ছিল বিষয় আর আঙ্গিকের দিক থেকে নতুন নতুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবাই আরও অবাক । তার শিল্পসৃষ্টির ক্ষমতা ম্লান
হয়ে এসেছে। পরে অবশ্য বৃহত্তর পরে অবশ্য বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাহিত্যকর্মের বিচার করার সুযােগ পাওয়া গেল। যাকে
হঠাৎ প্রতিভার হানি মনে হয়েছিল, দেখা গেল, তা আসলে স্টাইনবেকের সৃষ্টিশীলতার নতুন মােড়। তখন ছিল আধুনিকতাবাদের
অন্তিম সময়। সবাই স্বীকার করেছেন ওই যুগের বিশেষ পরিস্থিতির কথা। মরিস বিবি ‘হােয়াট মডার্নিজম ওঅজ’ বইয়ে এই
উপলব্ধির যে-বিবরণ দিয়েছিলেন তার সম্প্রসারণ ঘটালেন ফিলিপ স্টেভিকস । স্টেভিকস্ বললেন : ‘আধুনিকতা ধারণার সংজ্ঞা
লুকিয়ে আছে এর গূঢ় শ্লেষ আর দ্ব্যর্থকতা, বাচনিক ঋজুতা আর বাহুল্যহীনতা, সর্বোপরি এর স্বল্পভাষিতার মধ্যে। স্টাইনবেকের
মূল সুর ছিল ওই আধুনিকতা। | ১৯৩০-এর দশকে—যখন জন স্টাইনবেকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, রচনাশৈলীও বলিষ্ঠতার শীর্ষে
উঠেছে—সমালােচকগণ এক নতুন স্বাদের শ্লেষ খুঁজে পেলেন। স্টাইনবেকের প্রথম উপন্যাস কাপ অভূ গােল্ড’-এর আলােচনায়
স্যার হেনরি মরগ্যান বললেন : সভ্যতা একটি মানবসত্তাকে ভেঙে টুকরাে টুকরাে করে নানান সত্তার জন্ম দেবে। যে এই
বহুধাবিভক্তির সঙ্গে একাত্ম হতে পারবে না, সে মরেছে । প্রথম গ্রন্থের মাধ্যমে জন স্টাইনবেকের দৃষ্টিভঙ্গি বােঝা গেল, কিন্তু
বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে তার পরের সব বইগুলাে একেবারে আলাদা। প্রথম বইয়ের কাহিনী লক্ষ করলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়।
এটি আসলে ছিল একটি ঐতিহাসিক পােশাকি কাহিনীর ঝলমলে রচনা।২০ ডিসেম্বর ১৯৬৮ সালে ৬৬ বছর বয়সে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র এর নিউ ইয়র্ক সিটিতে এই অসাধারণ লেখকের মৃত্যু বরন করেন।