Muslim Sharif Bangla সহীহ মুসলিম শরীফ বাংলা [সকল অংশ] (PDF Bangla Boi)
Muslim Sharif সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস বিষয়ক একটি সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ। এটি কুতুব আল-সিত্তাহ অর্থাৎ হাদীস বিষয়ক প্রধান ছয়টি
গ্রন্থের দ্বিতীয় গ্রন্থ। সিহাহ্ সিত্তাহর বা বিশুদ্ধ ৬টি গ্রন্থের মধ্যে বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ সবচেয়ে বিশুদ্ধ যার ১টি
হাদিস ও কেউ প্রমান করতে পারে নাই যেটি আল কুরআনের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। ইমাম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ ইবনে
মুসলিম আল কুশাইরী হলেন এই মহান গ্রন্থের সংকলক। তার অন্যান্য সংকলনের মধ্যে সহীহ মুসলিম হলো সবচেয়ে প্রসিদ্ধ
ও গ্রহণযোগ্য। মুসলিম হাদীস বিশারদদের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোরআন মাজিদের পর পৃথিবীর বুকে বিশুদ্ধতম
দ্বিতীয় গ্রন্থ হলো ‘সহীহ মুসলিম’। শক্তিশালী পরিকল্পনার পাশাপাশি অত্যন্ত যত্নের সাথে গুছিয়ে ইমাম মুসলিম তৈরি
করেছেন সংকলনটি। উক্ত কর্মটি সম্পন্ন করতে তার সময় লেগেছে প্রায় ১৫ বছর। এই গ্রন্থ সংকলনে তার সুনির্দিষ্ট
পরিকল্পনা ও সযত্ন সুন্দর বিন্যাসকে বিবেচনা করে তার যুগের পশ্চিমা বহু মুহাদ্দিস সহীহ মুসলিমকে সহীহ বুখারী’র উপর
প্রাধান্য দিয়ে তাকে ‘শ্রেষ্ঠ হাদীস গ্রন্থ’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। এতে প্রায় ১২ হাজার হাদীস রয়েছে (পুনরুক্তসহ)। পুনরুক্ত
বাদ দিলে হাদীসের সংখ্যা হবে প্রায় ৪০০০।’ ইমাম মুসলিম তার মুখস্ত তিন লক্ষাধিক হাদীস থেকে বাছাই করে বিশুদ্ধ
হাদীসের এ সংকলনটি তৈরি করেছেন।
Book Details:
Name: Muslim Sharif Bangla সহীহ মুসলিম শরীফ ।
Writer: ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র) ।
Category/Genre: Hadith/ হাদিস ।
Language: Bengali
Format: PDF
PDF File Size: 161 Megabytes.
Source: Internet.
Collected By: BookBDarchive.com
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা :
ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র) এর পুরো নাম আল-ইমাম আল-হাফেজ হুজ্জাতুল ইসলাম আবুল হুসাইন
মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ আল-কুশিয়ারী আন-নায়সাবুরী। তিনি ২০২/৮১৭ মতান্তরে ২০৬/৮২১ অথবা ২০৪/৮১৯ সনে
খুরাসানের অন্তর্গত নায়সাবুরে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি নির্ভেজাল আরব বংশজাত । তার পরিবারের আদি বাসস্থান নায়সাবুর
। শৈশবকাল হতেই তিনি হাদীস শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করেন । হাদীস শিক্ষার উদ্দেশে তৎকালীন মুসলিম জাহানের সবগুলি
কেন্দ্রেই গমন করেন । বিশেষতঃ ইরাক, হিজায, মিশর প্রভৃতি অঞ্চল ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করে তথায় অবস্থানকারী হাদীসের
শ্রেষ্ঠ উস্তাদ ও মুহাদ্দিসের নিকট হতে হাদীস শিক্ষা ও সংগ্রহ করেন । তিনি এ সকল স্থানের ইমাম বুখারীর (মৃত্যুঃ ২৫৬ হিঃ)
অনেক উস্তাদ এবং অন্যদের নিকট থেকেও হাদিস শ্রবণ ও গ্রহণ করেন ।ইমাম মুসলিম সর্বপ্রথম ২১৮/৮১৩ সনে হাদিসের
দারসে বসতে শুরু করেন । ইয়াহইয়া আত-তামীমী আন-নায়সাবুরী, আল-কা’নাবী, আহমাদ ইবনে ইউনুস, ইসমা’ঈল ইবনে
আবী উইয়াস, সা’ঈদ ইবনে মানসূর, আউন ইবনে সাল্লাম, আহমাদ ইবনে হাম্বল – এ সকল প্রখ্যাত হাদিসবিদ ছাড়া আরও
অনেকের নিকট তিনি হাদিসের পাঠ গ্রহণ করতেন । তাছাড়া ইমাম শাফি’ঈ-এর শাগরিদ হারমালা এবং প্রখ্যাত মুহাদ্দিস
ইসহাক ইবনে রাহুইয়াহ-র নিকট থেকেও তিনি হাদিস শোনেন । তিনি একাধিকবার বাগদাদ সফর করেন । তাঁর সর্বশেষ
বাগদাদ সফর ছিল হিজরী ২৫৯ সনে । বাগদাদের হাদিসবিদরা তাঁর নিকট থেকে শ্রুত হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী
নায়সাবুরে আসলে ইমাম মুসলিম তাঁকে উস্তাদ হিসেবে বরণ করে নেন । তাঁর হাদিস বিষয়ক বিশাল জ্ঞানভান্ডার হতে
মুসলিম যথেষ্ট মাত্রায় গ্রহণ করেন ।
মুসলিম ছিলেন ‘উলূমে হাদিসের এক বিশাল সাগর’ । বিশ্বের সকল হাদিস বিশারদ তাকে এ বিষয়ের একজন শ্রেষ্ঠ ইমাম বলে
ঐকমত্য পোষণ করেছেন । তার যুগের বড় বড় মুহাদ্দিসগণ তার নিকট হাদিস শিক্ষা করেছেন । তার প্রখ্যাত শাগরিদদের
মধ্যে ইবরাহীম ইবনে আবী তালিব, ইবন খুযাইমা, সাররাজ, আবু আওয়ানা, আবু হামেদ ইবনে শারকী, আবু হামেদ আহমাদ
ইবনে হামাদান, ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ, মাককী ইবনে আবাদান, আব্দুর রাহমান ইবনে আবি হাতেম, মুহাম্মাদ ইবনে
মাখলাদ, ইমাম তিরমিযী, মুসা ইবনে হারুন, আহমেদ ইবনে সালমা, ইয়াহইয়া ইবনে সায়েদ প্রমুখের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য
। তারা সকলে হাদিস শাস্ত্রে মুসলিমের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে তার সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন । অবশ্য ইমাম তিরমিযী
মুসলিমের সূত্রের মাত্র একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিম ২৬১/৮৭৫ সনের ২৫শে রজব রোববার নায়সাবূরে
মৃত্যুবরণ করেন । নায়সাবূরের শহরতলী নাসরাবাদে ২৬শে রজব সোমবার তাকে দাফন করা হয় । তার জন্মের সন সম্পর্কে
মতভেদ থাকায় মৃত্যুকালে তার সঠিক বয়স সম্পর্কেও মতপার্থক্য দেখা যায় । ইবনে হাজার মুসলিমের মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে
একটি বিবরণ প্রদান করেছেন । মুসলিমের জন্য হাদিস বিষয়ক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । সেই মজলিসে
একটি হাদিস আলোচিত হয় । হাদিসটি মুসলিমের জানা ছিল না । মজলিস শেষে বাড়ি ফিরে রাতে এক ঝুরি খুরমা সামনে
নিয়ে হাদিসটি তালাশ করতে বসেন । একটি একটি করে খুরমা মুখে দিচ্ছেন আর হাদিসটি অনুসন্ধান করছেন । এভাবে
সকাল হয়ে যায়, খুরমাও শেষ হয় এবং হাদিসটিও তিনি পেয়ে যান । এই অতিরিক্ত খুরমা ভক্ষণই তার মৃত্যুর বাহ্যিক কারণ ।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
আমার লেখা আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ওয়েবসাইট টিতে একটু ঘুরে আসবেন দয়াকরে। আমি আমার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিয়মিত মানসম্মত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আমার ওয়েবসাইটের লিংক ।
সহীহ মুসলিম শরীফ এর সকল খন্ড জিপ ফাইল সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন এখানে।